ইকবাল খান: [২] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সূত্র: বাসস

[৩] প্রধানমন্ত্রী সকাল ৭টায় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর স্বাধীনতার মহান স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরুপ সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

[৪] আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলীয় প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকবার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

[৫] পরে ঐতিহাসিক এই দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

[৬] ১৯৬৬ সালের এই দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে বাঙালিদের ‘ম্যাগনা কার্টা’ বা ‘মুক্তির মহাসনদ’ ৬-দফা দাবির ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করেন।

[৭] বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৬৬ সালের ৭ জুন সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে জনগণের ওপর পাকিস্তানের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের শোষণ, পীড়ন, নিপীড়ন, বঞ্চনা, পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বের হয়ে আসতে ও অত্যাচারের অবসান ঘটাতে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে দিনব্যাপী হরতালের ডাক দেয়।

[৮] হরতাল চলাকালে ঢাকা, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জে সেদিন বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ ও আধা-সামরিক ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) নির্বিচারে গুলি চালালে শ্রমিক নেতা মনু মিয়া, শফিক ও শামসুল হকসহ ১০ জন নিহত হন।

[৯] পাকিস্তানি শাসকদের পাশবিকতা প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে ১৯৬৯ সালে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে পরিণত করে যা পরবর্তীকালে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের ক্ষমতার পতন ঘটায়।